সেই দিনের কথা কোনোদিনই ভুলব না: আঁখি আলমগীর

- Advertisement -
- Advertisement -

বিনোদন ডেস্ক 

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর খবরে ভারত-বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্বের সংগীতপ্রেমীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিংবদন্তির মৃত্যুতে অন্যান্যদের মতো শোকে কাতর বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীর। ভারতীয় এই শিল্পীর সঙ্গে দেখা করে তার সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ মিলেছিল বাংলাদেশের এই সংগীতশিল্পীর। গণমাধ্যমের কাছে সেই স্মৃতিচারণ করলেন বরেণ্য অভিনেতা আলমগীর তনয়া। আখিঁ আলমগীর জানান, উপমহাদেশের আরেক প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লা তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন।  সেই দেখায় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলেন তিনি। লতার সঙ্গে কথা বলার সেই স্মৃতিকে নিজের জীবনের সেরা মুহূর্তের একটি অবদান জানালেন আঁখি। আঁখি আলমগীর বলেন, ‘লতাজীর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালে। বাবার একটি সিনেমা(নায়ক আলমগীর) ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির গান রেকর্ডিং এর জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। রেকর্ডিং এর আগে সুযোগটা হয়েছিল, আর সেটা করে দিয়েছিলেন রুনা আন্টি। সেদিন ৩০ মিনিট সময় দেওয়ার কথা বলে আমাদের সঙ্গে আড়াই ঘন্টা আড্ডা দিয়েছিলেন। সে দিনের কথা কোনোদিনই ভুলব না আমি। আমি পুরোটা সময় উনার হাত ধরে পায়ের কাছে বসেছিলাম। যদিও লতাজি বারবার আমাকে উনার পাশে সোফায় বসাতে চাইছিলেন, কিন্তু আমি সেটা করিনি। আমি আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না সেই দিনের অনুভূতি।’নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন আঁখি। যেখানে দেখা গেছে লতা মঙ্গেশকরের হাত ধরে বসে আছেন তিনি। অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, লতার কোলে মাথা রেখে হাসছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, আহা লতাজী! চলেই গেলেন। প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।  মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৯২ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।  অবশেষে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কাছে হার মানলেন এই সংগীতশিল্পী।

দৈনিক অন্যধারা/এইচ

- Advertisement -

আরো পড়ুুর