এবারের অমর একুশে গ্রন্হ মেলা ২০১৯ এ ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে কবি মোজাফফার বাবুর উলুখাগড়াদের গল্প। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর অন্যধারা পাবলিকেশন্সের ৩৫৯ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
প্রগতিশীল রাজনীতিবীদ মাস্টার ইমান আলী ও শেফালী খাতুনের ঘর আলো করে ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট মোজাফফার বাবু জন্মগ্রহণ করেন। যশোরের খড়কি সার্কেট হাউস পাড়ায় শৈশব-কৈশরের স্মৃতিময় অধ্যায় পার করেন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি। খড়কি কারবালার একটি স্কুলে তার পড়ালেখায় হাতেখড়ি। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যায়ন করেন ঘোপ সেবা সংঘ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন যশোর জেলা স্কুলে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স থেকে হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তদানিন্তন জগন্নাথ কলেজ) থেকে হিসাব বিজ্ঞানে পড়ালেখা করেন।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন মোজাফফার বাবুর প্রথম কবিতা ‘ভিক্ষুক’ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প, নাটক লিখে চলেছেন।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও চর্চায় তার সংযোগ ছেলেবেলা থেকেই। ঘোপ শিশু সংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় স্কুল সেমিনার ক্লাবে স্বরচিত নাটক ‘একুশের ডাক’, ‘স্বাধীন বাংলা’, ‘শহীদ মিনার’ পরিচালনা ও মঞ্চায়ন করেছেন। তিনি ঢাকা ড্রামা সার্কেলের পক্ষ থেকে মহিলা সমিতির মঞ্চে নাটক করেছেন। এছাড়া ফজলে লোহানী দ্বারা পরিচালিত ‘যদি কিছু মনে না করেন’ টিভি অনুষ্ঠানে অভিনয় করেছেন।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছাত্র সংগঠন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করেন এবং ছাত্র সংসদ-এর সভাপতি নির্বাচিত হন।
শিল্পসংস্কৃতির মানুষ মোজাফফার বাবু ক্রীড়াতেও অর্জন করেছেন বেশ কিছু পুরস্কার। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি গান বা আবৃত্তি শুনতে এবং বর্তমান বিশ্বের অবস্থা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে পছন্দ করেন।